বোবা অনুভুতি
★★বোবা অনুভুতি★★
.--গল্পপ্রমী-মেয়ে--
.
কলেজ যাওয়ার জন্য হিজাব পরছি তখন ই মা এসে বললো এ রোদেলা আজ কলেজ যাওয়ার প্রয়োজন নেই।
আমি বললাম সামনে আমার পরিক্ষা এসব জামেলায় জড়াতে চাই না,
তোর কি কারো সাথে সম্পর্ক আছে? (মা)
না....
তাহলে প্রতিটা সময় দেখতে আসার কথা শুনলে এই রকম ব্যবহার করিস কেনো!!
মা তুমি জানোনা আমার পড়ালেখা করার ইচ্ছা আর তুমিও তো চাইতে তোমার বড় মেয়ে ভালো পড়ালেখা করে মানুষ এর মতো মানুষ হউক।
তখননি মা মাথা নিচু করে আমার সামনে থেকে চলে গেলো,
চোখে না দেখলেও মনের আয়নায়
ঠিকই ভেসে উঠলো মায়ের কান্না ভেজা চোখ।
মায়ের ও অনেক সপ্ন ছিলো আমাকে নিয়ে কিন্তু মধ্যবিত্ত পরিবারের মায়েদের সব আশা গলা টিপে হত্যা করতে হয় তার স্বামীর রোজগারের দিকে তাকিয়ে ।
আর যে মায়ের এক সাথে দুটি মেয়ে বিয়ের উপযুক্ত থাকে তার উপর একটা ছেলে নাই ।
★
কথা গুলা চিন্তা করতে করতে হেঁটে হেঁটে কলেজে চলে গেলাম।
কিছুতেই ক্লাসে মন বসাতে পারছিনা আমার জীবনে কি ঘটতে চলছে,
চিন্তার ছেদ পড়লো ক্লাসের সামনে মাসুদ স্যার এর ডাকে,
তিনি আমাকে নিজের মেয়ের থেকে কম ভালোবাসে বলে মনে হয় না।
জি স্যার আসছি বলে রুম থেকে বাহির হলাম।
স্যার বললো রদু তোর মা ফোন করছে দশ মিনিট এর বিতরে বাড়ি যেতে ওহহ রিক্সা করে চলে যা ।
মাথা নিচের দিকে দিয়ে বললাম স্যার আমি যাবো না ।
ওদের সামনে যাওয়ার ইচ্ছা থাকলে কলেজে আসতাম না।
এই রদু মাথা তোল মা,আমি সব শুনছি খোঁজ নিয়ে দেখছি ছেলে যথেষ্ট ভদ্র পরিবার ও অনেক ভালো তার চেয়ে বড় কথা তুই পড়া চালিয়ে যেতে পারবি।
আমি কিছু বললাম না দেখে স্যার আমার হাত ধরে বললো যা না মা ):
কিচু না বলে রুমে গিয়ে মুখ লাগিয়ে ব্যাগ নিয়ে বাহির হতে যাব তখনি কয়টা বন্দু বলে উঠলো দেখতে আসছে না কি রে।
ওরা আমায় নিয়ে মজা করছে আর আমার কোরবান হচ্ছে।
রিক্সায় গেলাম না প্রায় পঁয়তাল্লিশ মিনিট ব্যায় করে বাড়ি ফিরলাম,
তখনো ওরা যায় নাই,আল্লাহ এ কেমন মানুষ গুলা দুই ঘন্টার মতো হলো তাও বসে আছে চেঁচড়ার মতো।
একটুও মেকাপ করি নাই তাও আমায় অবাক করে দিয়ে ওনারা আজকেই আমাকে রিং পরানোর সম্বতি জানালেন।
★
আর এক সাপ্তাহ পর না কি আমার বিয়ে ভাবেতই রাগ হচ্ছে।
এদিকে মা বাবা ফুফুর বাড়ি গেছে পরামর্শ করার জন্য ফিরে আসলো নয়ন ভাইকে নিয়ে।
নয়ন ভাই এর চোখে চোখ পড়তেই একটা মলিন হাসি দিয়ে রুমে চলে গেলাম।
কখনো নয়ন ভাই এর চোখের দিকে এভাবে তাকাই নি তাহলে আজ কেনো?
মা ডাক দিলো রোদেলা কই গেলি ছেলেটা এলো নাস্তা দে।
আমি সামনে গিয়ে হাসি মুখে বললাম ভাইয়া দুধ চা খাবেন?
কিচ্ছু বললো না ,মাথাটা ডান পাশে নিয়ে অন্য দিকে তাকিয়ে আছে।
জিজ্ঞাস করা লাগবেনা যা তোর যা ইচ্ছা নিয়ে আয়,
যাওয়ার সময় নয়ন এর চোখের দিকে তাকিয়ে তো আমি অবাক তার চোখে পানি আমার মাথা আর কাজ করছেনা।
আমি এটা কি দেখলাম উনার কান্নার কারন কি আমি।
তাহলে উনিও! ( অবাক)
আখিঁর ডাইরিতে গল্প, ছন্দ ,কবিতা লিখতো পড়লেই বুজা যেতো আমায় নিয়ে লেখা আর ও দিকে আখিঁ চিৎকার করতো আমার ডাইরির সব পৃষ্ঠা শেষ ভাই আমারে মাপ করেন আপুর ডাইরিতে যাই লিখেন।
নয়ন ভাই বলতো তোর আপুর যেই মাত্রায় রাগ ছোট বেলায় তো আমারে ব্লেট দিয়ে কাটছে দেখ এখনো দাগ আছে,আর এখন তো চুরি দিয়ে ...........
আমার হাতের লেখা ছিল খারাপ সবাই বলতো রোদেলা হাতের লেখা ঠিক করো আর মাসুদ স্যার এ তো বলতো এই তো রদুর কোপানি শুরু হইছে
নয়ন ভাই বলতো আমার হাতের লেখার ইস্টাইল টা অনেক সুন্দর।
★
.
পরের দিন থেকে উনার দায়িত্ব দেখে আমি আর কিছু বুজতেই পারি নাই কি আর ভাববো।
যে ভাবে একটা ভাই তার বোন এর বিয়ে তে দায়িত্ব পালন করে ঠিক ও রকম।
আজ আমার হলুদ ,
নয়ন ভাই খুব ব্যস্ত কেনো জানি আজ আমার ও চোখে অঝরে পানি পড়ছে কই এত্তো দিন তো এমনটা হয় নাই।
একে একে সবাই হলুদ দিল কিন্তু নয়ন ভাই কই?
ভিডিও ম্যান কে বললাম নয়ন ভাই কই( উনি আবার নয়ন এর বন্দু)
সবার শেষে সাহেব আসলেন কোথা থেকে হাসতে হাসতে,
আমি এক দৃষ্টিতে চেয়ে থাকলাম তার সেই হাসির দিকে।
উনি আমায় হলুদ দিচ্ছেন না কপাল থেকে গাল পর্যন্ত আলপনা করছেন বুজতেছিনা।
বড় হওয়ার পর এই প্রথম তার ছোয়া এই ছোঁয়া পবিত্র ভালোবাসার ছোয়া।
কিন্তু এখন তো সময় শেষ আর উনি তো আমায় বুজতেই দিচ্ছে না আর কখনো বলেও নি ।
★
আজ আমার বিয়ে, ,,
নয়ন ভাই কে আজ আর চোখেই দেখি নাই।
এদিকে আমাকে সাজাচ্ছে আর আমি চোখের পানি দিয়ে তা মুছে দিচ্ছি, যে সাজাচ্ছে তার বকা শুনছি।
বোকা মেয়ে এখনকার সময় এই রকম কান্না করে না কি কেউ চুপচাপ বসে থাকো।
আমায় নিয়ে যাচ্ছে অন্যের বাড়ীতে শুধু একটা বার তাকে দেখার আশায় অনেক সময় ধরে যেতে চাই নাই কান্নার অজুহাতে ।
.
পরে ফুফুর থেকে জানতে পারলাম নয়ন ভাই দুপুরের দিকে বাড়ি চলে গেছে পুরো রাত কান্না করে .........
,
থাক না কিছু অজানা
,
অনেক সময় অসমাপ্ত থেকে যায় হাজারো বাস্তব জীবনের গল্প,,
--(সমাপ্ত) --
.--গল্পপ্রমী-মেয়ে--
.
কলেজ যাওয়ার জন্য হিজাব পরছি তখন ই মা এসে বললো এ রোদেলা আজ কলেজ যাওয়ার প্রয়োজন নেই।
আমি বললাম সামনে আমার পরিক্ষা এসব জামেলায় জড়াতে চাই না,
তোর কি কারো সাথে সম্পর্ক আছে? (মা)
না....
তাহলে প্রতিটা সময় দেখতে আসার কথা শুনলে এই রকম ব্যবহার করিস কেনো!!
মা তুমি জানোনা আমার পড়ালেখা করার ইচ্ছা আর তুমিও তো চাইতে তোমার বড় মেয়ে ভালো পড়ালেখা করে মানুষ এর মতো মানুষ হউক।
তখননি মা মাথা নিচু করে আমার সামনে থেকে চলে গেলো,
চোখে না দেখলেও মনের আয়নায়
ঠিকই ভেসে উঠলো মায়ের কান্না ভেজা চোখ।
মায়ের ও অনেক সপ্ন ছিলো আমাকে নিয়ে কিন্তু মধ্যবিত্ত পরিবারের মায়েদের সব আশা গলা টিপে হত্যা করতে হয় তার স্বামীর রোজগারের দিকে তাকিয়ে ।
আর যে মায়ের এক সাথে দুটি মেয়ে বিয়ের উপযুক্ত থাকে তার উপর একটা ছেলে নাই ।
★
কথা গুলা চিন্তা করতে করতে হেঁটে হেঁটে কলেজে চলে গেলাম।
কিছুতেই ক্লাসে মন বসাতে পারছিনা আমার জীবনে কি ঘটতে চলছে,
চিন্তার ছেদ পড়লো ক্লাসের সামনে মাসুদ স্যার এর ডাকে,
তিনি আমাকে নিজের মেয়ের থেকে কম ভালোবাসে বলে মনে হয় না।
জি স্যার আসছি বলে রুম থেকে বাহির হলাম।
স্যার বললো রদু তোর মা ফোন করছে দশ মিনিট এর বিতরে বাড়ি যেতে ওহহ রিক্সা করে চলে যা ।
মাথা নিচের দিকে দিয়ে বললাম স্যার আমি যাবো না ।
ওদের সামনে যাওয়ার ইচ্ছা থাকলে কলেজে আসতাম না।
এই রদু মাথা তোল মা,আমি সব শুনছি খোঁজ নিয়ে দেখছি ছেলে যথেষ্ট ভদ্র পরিবার ও অনেক ভালো তার চেয়ে বড় কথা তুই পড়া চালিয়ে যেতে পারবি।
আমি কিছু বললাম না দেখে স্যার আমার হাত ধরে বললো যা না মা ):
কিচু না বলে রুমে গিয়ে মুখ লাগিয়ে ব্যাগ নিয়ে বাহির হতে যাব তখনি কয়টা বন্দু বলে উঠলো দেখতে আসছে না কি রে।
ওরা আমায় নিয়ে মজা করছে আর আমার কোরবান হচ্ছে।
রিক্সায় গেলাম না প্রায় পঁয়তাল্লিশ মিনিট ব্যায় করে বাড়ি ফিরলাম,
তখনো ওরা যায় নাই,আল্লাহ এ কেমন মানুষ গুলা দুই ঘন্টার মতো হলো তাও বসে আছে চেঁচড়ার মতো।
একটুও মেকাপ করি নাই তাও আমায় অবাক করে দিয়ে ওনারা আজকেই আমাকে রিং পরানোর সম্বতি জানালেন।
★
আর এক সাপ্তাহ পর না কি আমার বিয়ে ভাবেতই রাগ হচ্ছে।
এদিকে মা বাবা ফুফুর বাড়ি গেছে পরামর্শ করার জন্য ফিরে আসলো নয়ন ভাইকে নিয়ে।
নয়ন ভাই এর চোখে চোখ পড়তেই একটা মলিন হাসি দিয়ে রুমে চলে গেলাম।
কখনো নয়ন ভাই এর চোখের দিকে এভাবে তাকাই নি তাহলে আজ কেনো?
মা ডাক দিলো রোদেলা কই গেলি ছেলেটা এলো নাস্তা দে।
আমি সামনে গিয়ে হাসি মুখে বললাম ভাইয়া দুধ চা খাবেন?
কিচ্ছু বললো না ,মাথাটা ডান পাশে নিয়ে অন্য দিকে তাকিয়ে আছে।
জিজ্ঞাস করা লাগবেনা যা তোর যা ইচ্ছা নিয়ে আয়,
যাওয়ার সময় নয়ন এর চোখের দিকে তাকিয়ে তো আমি অবাক তার চোখে পানি আমার মাথা আর কাজ করছেনা।
আমি এটা কি দেখলাম উনার কান্নার কারন কি আমি।
তাহলে উনিও! ( অবাক)
আখিঁর ডাইরিতে গল্প, ছন্দ ,কবিতা লিখতো পড়লেই বুজা যেতো আমায় নিয়ে লেখা আর ও দিকে আখিঁ চিৎকার করতো আমার ডাইরির সব পৃষ্ঠা শেষ ভাই আমারে মাপ করেন আপুর ডাইরিতে যাই লিখেন।
নয়ন ভাই বলতো তোর আপুর যেই মাত্রায় রাগ ছোট বেলায় তো আমারে ব্লেট দিয়ে কাটছে দেখ এখনো দাগ আছে,আর এখন তো চুরি দিয়ে ...........
আমার হাতের লেখা ছিল খারাপ সবাই বলতো রোদেলা হাতের লেখা ঠিক করো আর মাসুদ স্যার এ তো বলতো এই তো রদুর কোপানি শুরু হইছে
নয়ন ভাই বলতো আমার হাতের লেখার ইস্টাইল টা অনেক সুন্দর।
★
.
পরের দিন থেকে উনার দায়িত্ব দেখে আমি আর কিছু বুজতেই পারি নাই কি আর ভাববো।
যে ভাবে একটা ভাই তার বোন এর বিয়ে তে দায়িত্ব পালন করে ঠিক ও রকম।
আজ আমার হলুদ ,
নয়ন ভাই খুব ব্যস্ত কেনো জানি আজ আমার ও চোখে অঝরে পানি পড়ছে কই এত্তো দিন তো এমনটা হয় নাই।
একে একে সবাই হলুদ দিল কিন্তু নয়ন ভাই কই?
ভিডিও ম্যান কে বললাম নয়ন ভাই কই( উনি আবার নয়ন এর বন্দু)
সবার শেষে সাহেব আসলেন কোথা থেকে হাসতে হাসতে,
আমি এক দৃষ্টিতে চেয়ে থাকলাম তার সেই হাসির দিকে।
উনি আমায় হলুদ দিচ্ছেন না কপাল থেকে গাল পর্যন্ত আলপনা করছেন বুজতেছিনা।
বড় হওয়ার পর এই প্রথম তার ছোয়া এই ছোঁয়া পবিত্র ভালোবাসার ছোয়া।
কিন্তু এখন তো সময় শেষ আর উনি তো আমায় বুজতেই দিচ্ছে না আর কখনো বলেও নি ।
★
আজ আমার বিয়ে, ,,
নয়ন ভাই কে আজ আর চোখেই দেখি নাই।
এদিকে আমাকে সাজাচ্ছে আর আমি চোখের পানি দিয়ে তা মুছে দিচ্ছি, যে সাজাচ্ছে তার বকা শুনছি।
বোকা মেয়ে এখনকার সময় এই রকম কান্না করে না কি কেউ চুপচাপ বসে থাকো।
আমায় নিয়ে যাচ্ছে অন্যের বাড়ীতে শুধু একটা বার তাকে দেখার আশায় অনেক সময় ধরে যেতে চাই নাই কান্নার অজুহাতে ।
.
পরে ফুফুর থেকে জানতে পারলাম নয়ন ভাই দুপুরের দিকে বাড়ি চলে গেছে পুরো রাত কান্না করে .........
,
থাক না কিছু অজানা
,
অনেক সময় অসমাপ্ত থেকে যায় হাজারো বাস্তব জীবনের গল্প,,
--(সমাপ্ত) --
No comments