Header Ads

*সাজা*
বিশাল আনন্দ
এই মাত্র ঙ্গান ফিরল।।বুঝতে পারছি না কোথায় আছি অনুভব করছি আমার শরীরে প্রচন্ড ব্যাথা।মিনিট পাচেক এভাবেই কাটল।বুজতে পারলাম হাজতে আছি।সব মনে পড়তে লাগল আমার।আমি কলেজ লাইফে একটা মেয়েকে ভালোবাসতাম।। সেও বাসত আমরা অমেকটা গভীরে চলে গিয়েছিলাম।। একদিন ওর কোনো যোগাযোগ নেই দেখে খোজ নিয়ে জানলাম ওকে ওর মামার বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে আজ ওর বিয়ে।।গেলাম সেখানে ওর সাথে কথাও হলো ও বলল এখন আর এসব নিয়ে ভাবছে না।।চাহিদার টানে ও আমার সাথে অভিনয় করেছে।চলে এলাম শপথ করে জীবনে যতদিন বাচব সব মেয়েদের ক্ষতি করব।।একেক করে ১৮টা মেয়ের সাথে অভিনয় করলাম ওদের সর্বস্য লুটে নিলাম।বলতে মানা নেই আমার কারনে দুজন আত্মত্যাগ করেছে।আর একজন কে নিজ হাতে ওদের বাসার ছাদ থেকে ফেলেদিয়েছিলাম।।আমার জীবনে ভয়ংকর অধ্যায়টাতে পরিবর্তন আনলো* সূচনা*।।ওর সাথে পরিচয় ভার্সিটি ক্যাম্পাসে ওকে ও ফাসিয়ে ছিলাম।।একবছর কেটে গেলো একদিন সূচনা আমায় জরুরী ভাবে একটা নির্জন জায়গায় ডাকল।ভাবলাম ওকেও আজ শেষ করব।গিয়ে দেখি সূচনা বড় একটা ব্যাগ আর ১লাখ টাকা নিয়ে আসছে বললো এখনি আমায় বিয়ে করো।ভাবলাম টাকাটা নিয়ে পালাবো কিন্তু পারিনি সূচনা কাজী অফিস পর্যন্ত পুরো রাস্তা আমার হাত ধরে চলল।মনের অনিচ্ছাতে বিয়ে করলাম ভাবলাম কদিন ওকে ভোগ করি।একটা রুম ভাড়া করে ওকে নিয়ে উঠলাম ভোরবেলা পালাবো বলে জেগে উঠলাম দেখি সুচনা আমার মুখের দিকে অপলক তাকিয়ে বড্ড সুন্দর লাগছিল ওকে।।কিন্তু আমার মায়া ছিলোনা আমি তখনো ওকে শেষ করার চিন্তায়।।সূচনার পরিবারের। লোকজন পুলিশ লাগিয়ে দিল।তাই নিজে বাচার জন্য ওকে নিয়ে সেখান থেকে পালালাম দুরে।সেখানে প্রায় চারমাস ছিলাম
।প্রথম দুমাসে প্রায় একশ বার ওকে মেরে ফেলার চেষ্টা করলাম কিন্তু আমার প্রতি ওর বিশ্বাস জিতে গেলো পারলাম না। শেষের দুমাসে কি যেনো হয়ে গেলো আমার আমি ওকে ভালোবাসতে লাগলাম।হঠাৎ এক রাতে আমার বন্ধুর কল ও আমায় দেখা করতে বলল।সূচনা বার বার না করছিলো যেতে।কিন্তু গেলাম।। বন্ধু পুলিশে ধরিয়ে দিয়ে দিলো।।পুলিশকে সূচনা বার বার বলল আমরা প্রাপ্ত বয়স্ক আমরা নিজের ইচ্ছায় বিয়ে করেছি আমরা কেনো যাবো থানায়।আমাদের টেনেহিছড়ে থানায় আনা হলো।দেখলাম সূচনার মা বাবা সেখানে।আমায় জেলে আটকিয়ে সূচনাকে বলতে বলল আমি ওকে জোর করে বিয়ে করেছি।কিন্তু ও বলল ও আমাকে ভালোবাসে নিজের ইচ্ছায় বিয়ে করেছে।আর আমি কিনা ওকে মারতে চাইতাম।কিছুসময় পর দুজন লোক এলো আর আমায়  কাগজে সই করতে বলল।।। পড়ে দেখলাম ওখানে লেখা সূচনা কে আমি জোর করে বিয়ে করেছি।আর দ্বিতিয়টাতে  ডিভোরস এর আবেদন।আমি রাজী হলাম না।ওরা আমাকে অনেক মারলো আমার হাতে বুকে পাচাপা দিলো এরপর আর বলতে পারিনা।আমার এক বন্ধু এসেছে এখন জামিন নিয়ে।কিছুসময় পর আমি ছাড়া পেলাম।হাটতে পারছিলাম না।বন্ধুর বাসায় এসে কখন যে ঘুমিয়ে পড়লাম জানিনা।হঠাৎ ঘুম ভাংগতেই সূচনার কথা মনে পড়ল বেরহলাম খুজতে নিস্তেজ শরীর নিয়ে ওদের বাড়িতেও গেলাম ছদ্দবেশে।ওরা কেউ নেই বাড়িতে প্রতিবেশিরাও জানেনা কোথায় গেছে।আজ দুবছর হলো আমাদের বিয়ের অথচ আজ ও আমার পাশে নেই।আমি এদুবছর অনেক খুজেছি সব জায়গায় যেখানে যেখানে ওকে নিয়ে গিয়েছিলাম ওকে মারার জন্য।ওখানেই খুজে বেড়াচ্ছি পাওয়ার জন্য।কিন্তু পাইনি।আমার সন্তান ওর মধ্যে একটু একটু করে বড় হচ্ছিলো।জানিনা সেকি পৃথিবির আলো দেখেছে কিনা
।সূচনাই বা কোথায় আছে কেমন আছে?.ওকি আবার সংসার করছে আমায় ভুলে। না এটা হতে পারেনা ও তো আমায় ছারা বাছবে না।জীবনটা প্রশ্নে ভরাট হয়ে গেছে উত্তর নেই একটরো। আবার কি কোনোদিন দেখা হবে সূচনার সাথে? আমার সন্তান কি বাবা বলে ডাকবে আমায় যাকে আমি দেখিনি।এ কোন বিচার আমিতো বদলে গিয়েছিলাম আমি যুবক খারাপ ছিলাম কিন্ত আমার অদেখা সন্তানের বাবা হিসেবে তো খারাপ নই।তবে কেনো এমন হলো?আমার পাপের সাজা এমনি হওয়ার ছিলো হয়ত......আজ প্রভুর কাছে  প্রথম বার চাইছি আবার আমার সাথে সূচনার দেখা হোক একবার জাসট একবার দেখতে ইচ্ছে করছে ওকে আমার সন্তান কে।এরপর নাহয় আমার নিঃশ্বাস বন্ধ করে দিও।

No comments

Theme images by fpm. Powered by Blogger.