রোদেলার সংসার
শিউলী সুলতানা
তাং :২৫-০৩-১৭
অনেকদিন যাবত রোদেলার মনটা খুব খারাপ। কোন কিছুই তার ভাল লাগছে না। তার ইচ্ছে করছে ঘর -সংসার ছেড়ে দূরে কোথাও চলে যেতে। যখনই একথাটাভাবে তখনই তার মেয়ের মুখটা চোখের সামনে ভেসে উঠে। আর ভাবে আমি চলে গেলে ওর কি হবে। তাই রোদেলা সবকিছু মুখবুজে সহ্য করে। নামাযে বসে শুধু কান্না করে। যখন সে কান্না করে তখন তার ছোট মেয়েটা হাত দিয়ে চোখের পানি মুছে দেয়। আর বলে মা কান্না করো না আমি বাবাকে বকে দিব। মেয়ের কথা শুনে রোদেলার বুক ফেটে আরো কান্না আসে। ছোট মেয়েটাও বুঝে মা কেন কান্না করে। বুঝে না শুধু তার স্বামী। রিফাদের সঙ্গে রোদেলার বিয়ে হয়েছে এটা পাচঁ বছর। এর মধ্যে রোদেলা বুঝে গেছে স্বামী তার কত আপন। বিয়ের দুবছর পর রোদেলার কোল জুড়ে আসল তাদের আদরের মেয়ে নাবিলা। যখন মেয়েটা হল তখন তার মনে হতে লাগল আর কেউ তার দিকে ভালবাসার হাত না বাড়ালেও তার মেয়ে বাড়াবে। রোদেলা অনেক খুশি। তবে মেয়েটা যখন পেঠে ছিল তখন একদিনও রিফাদ রোদেলাকে জিঙ্গেস করেনি তার শরীর কেমন লাগছে বা তার কিছু খেতে ইচ্ছে করে কি না। প্রথমবার শুধু ডাক্তারের কাছে নিয়ে গিয়েছিল তারপর থেকে রোদেলা একাই যেত ডাক্তারের কাছে। ডাক্তার দেখানোর যখন সময় হত তখন রিফাদকে বলত। তখন তার স্বামী বলত তুমি চলে যেও আমার কাজ আছে। এভাবেই অবহেলা, অযত্নে রোদেলার দিন যাচ্ছে।
রোদেলার মা নেই মা থাকলে তো অন্তত মনের কথাগুলো বলা যেত মায়ের কাছে। রিফাদ একটা প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকুরি করে। ভালো বেতনও পায় তবে চাকুরীর বেতন রোদেলার কাছে দেয় না। যখন কিছু লাগে তখন টাকা দিয়ে যায়। এসব অবিচার, অনিয়ম দেখতে দেখতে রোদেলার মেজাজ কেমন খিটখিটে হয়ে গেছে। কারো সাথে কথা বলতে তার ভাল লাগে না। সারাক্ষণ তার মনে শুধু একটাই প্রশ্ন ভালবাসা ছাড়া সে কিভাবে সংসার করবে। সারাদিন কাজ করার পরে সে যখন স্বামীর জন্য অপেক্ষা করে কখন তার স্বামী আসবে। যেই না স্বামী ঘরে আসে স্বামীর ব্যবহারে সে অপেক্ষা টা মাটি হয়ে যায়। আগে রোদেলা এসব দেখে কান্না করত আর এখন মোটামুটি ঝগড়া করে রিফাদের সঙ্গে। কেউ একজন রোদেলাকে বলেছিল অধিকার কেউ কাউকে দেয় না আদায় করে নিতে হয়। এখন রোদেলা এটাই ভাবে কিভাবে সে তার অধিকার পাবে।
শিউলী সুলতানা
তাং :২৫-০৩-১৭
অনেকদিন যাবত রোদেলার মনটা খুব খারাপ। কোন কিছুই তার ভাল লাগছে না। তার ইচ্ছে করছে ঘর -সংসার ছেড়ে দূরে কোথাও চলে যেতে। যখনই একথাটাভাবে তখনই তার মেয়ের মুখটা চোখের সামনে ভেসে উঠে। আর ভাবে আমি চলে গেলে ওর কি হবে। তাই রোদেলা সবকিছু মুখবুজে সহ্য করে। নামাযে বসে শুধু কান্না করে। যখন সে কান্না করে তখন তার ছোট মেয়েটা হাত দিয়ে চোখের পানি মুছে দেয়। আর বলে মা কান্না করো না আমি বাবাকে বকে দিব। মেয়ের কথা শুনে রোদেলার বুক ফেটে আরো কান্না আসে। ছোট মেয়েটাও বুঝে মা কেন কান্না করে। বুঝে না শুধু তার স্বামী। রিফাদের সঙ্গে রোদেলার বিয়ে হয়েছে এটা পাচঁ বছর। এর মধ্যে রোদেলা বুঝে গেছে স্বামী তার কত আপন। বিয়ের দুবছর পর রোদেলার কোল জুড়ে আসল তাদের আদরের মেয়ে নাবিলা। যখন মেয়েটা হল তখন তার মনে হতে লাগল আর কেউ তার দিকে ভালবাসার হাত না বাড়ালেও তার মেয়ে বাড়াবে। রোদেলা অনেক খুশি। তবে মেয়েটা যখন পেঠে ছিল তখন একদিনও রিফাদ রোদেলাকে জিঙ্গেস করেনি তার শরীর কেমন লাগছে বা তার কিছু খেতে ইচ্ছে করে কি না। প্রথমবার শুধু ডাক্তারের কাছে নিয়ে গিয়েছিল তারপর থেকে রোদেলা একাই যেত ডাক্তারের কাছে। ডাক্তার দেখানোর যখন সময় হত তখন রিফাদকে বলত। তখন তার স্বামী বলত তুমি চলে যেও আমার কাজ আছে। এভাবেই অবহেলা, অযত্নে রোদেলার দিন যাচ্ছে।
রোদেলার মা নেই মা থাকলে তো অন্তত মনের কথাগুলো বলা যেত মায়ের কাছে। রিফাদ একটা প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকুরি করে। ভালো বেতনও পায় তবে চাকুরীর বেতন রোদেলার কাছে দেয় না। যখন কিছু লাগে তখন টাকা দিয়ে যায়। এসব অবিচার, অনিয়ম দেখতে দেখতে রোদেলার মেজাজ কেমন খিটখিটে হয়ে গেছে। কারো সাথে কথা বলতে তার ভাল লাগে না। সারাক্ষণ তার মনে শুধু একটাই প্রশ্ন ভালবাসা ছাড়া সে কিভাবে সংসার করবে। সারাদিন কাজ করার পরে সে যখন স্বামীর জন্য অপেক্ষা করে কখন তার স্বামী আসবে। যেই না স্বামী ঘরে আসে স্বামীর ব্যবহারে সে অপেক্ষা টা মাটি হয়ে যায়। আগে রোদেলা এসব দেখে কান্না করত আর এখন মোটামুটি ঝগড়া করে রিফাদের সঙ্গে। কেউ একজন রোদেলাকে বলেছিল অধিকার কেউ কাউকে দেয় না আদায় করে নিতে হয়। এখন রোদেলা এটাই ভাবে কিভাবে সে তার অধিকার পাবে।
No comments