সেই মেয়েটি
সেই মেয়েটি
Sanju Afroz Sharna
দরজায় নক করেই চলছে মা, কিন্তুু নীল দরজা খুলবো না বলে আজ নিজের কাছে পণ করেছে।
বাবা-মায়ের একমাত্র মেয়ে, যেমন নম্র তেমনি ভদ্র। আর বেশ চাপা সভাবের। দরজা বন্ধ করে ড্রেসিন টেবিলের আয়নার সামনে বসে অঝরে কেঁদেই যাচ্ছে। মা এতোবার নক করে যখন কোনো সারা শব্দ পেলোনা
ভাবলো হয়তো ঘুমিয়ে পরেছে তাই সে চলে গেছে তার কাজে। নীল কোন শব্দ ছারাই কেঁদে চলছে। কেউ শুনছে না। নীলের একটা ছোট্ট পরিবার, যেখানে বাবা, মা,ভাই থাকে।
পরিবারটা ছোট হতে পারে কিন্তুু সেখানে কথার কোনো শেষ নেই। একদিন প্রতিদিন একটা না একটা নিয়ে ঝগড়া লেগেই থাকে। বাবা - মায়ের মধ্যে প্রতিনিয়ত মনো মালিন্য লেগেই থাকে।রোজ রোজ এমন ঝগড়া আর নীলের ভালো লাগেনা। মাঝে মাঝে ইচ্ছে হয় নীলের ও মরেই যাবে তাহলে হয়তো এসব থেকে শান্তি পাওয়া যাবে। অনেক বার ব্রেট, ছুরি নিয়ে কিছু একটা করার ব্যর্থ চেষ্টাও করেছিলো। ভিতু বলে কিছুই করতে পারেনি। শুধু কান্না করাই যেনো রুটিন হয়ে গেছে। কতোটা কষ্টে আছে, কতোটা সুখে আছে কাউকে বলতে পারেনা। মা কে বলবে তার ও কোন উপায় নেই, মাও এ পরিবারে এসে অনেক কষ্ট সহ্য করেছে। তাই নিজের দুঃখের কথা বলার মতো আর কেউ নেই।
নীল আয়না দেখতে আর ডায়রিতে লিখতে খুব ভালোবাসে। এরাই তার একমাত্র সঙ্গী, একমাত্র বন্ধু। যেখানে মনের কথা গুলো লিখে নিজেকে নিজের মনকে হালকা রাখে, রাখে বললে ভুল হবে আসলে রাখার চেষ্টা করে। আয়নার সামনে বসে কান্না করে কথা বলে। নীলের অনেক কষ্ট যা কেউ বুঝেনা, কেউ দেখেনা।
জানেন নীল কখন কারো প্রেমে পরেনি, কাউকে ভালোবাসেনি শুধু মান সম্মান এর ভয়ে। ও ভেবেছিল কারো সাথে কোনো সম্পর্কে জড়ালে তার বাবা হয়তো জেনে যাবে। তখন সে কষ্ট পাবে, সমাজে তার সম্মানহানি হবে। তাই ভুল করেও কোনো অন্যায় করেনি। বোকা মেয়ে একটা। সব সময় শুধু অন্যের চিন্তাই করেছে। নিজের দিকটা ভেবেই দেখেনি। তাই আজ তার বুকে আজ হাজারো কষ্টের মেলা বইছে।
সেই মেয়েটি আজ স্লিং ফ্যান এর সাথে ঝুলছে। সেই ভিতু মেয়েটা। গলায় প্যাঁচানো ওড়না, পা দুটি দুলেই চলছে। বুকে শত কষ্ট নিয়েই চলে গেলো।
সবাই অবাক চোখে দেখছে তাকে। বাবা মা কান্নায় ভেঙ্গে পরেছে। আজ আর কান্না করে কি হবে, নীল কি আর ফিরে আসবে? তাহলে কি লাভ এমন অভিনয় করে!
প্রতিটি মানুষের শান্তির একটি জায়গা থাকে আর সেটা হলো তার পরিবার। অথচ দেখুন নীল আজ এই পরিবারের কারনেই দড়িতে ঝুলছে। এ কেমন পরিবার যেখানে সুখ নেই, নেই শান্তির ছিটেফোঁটা।
যেই পরিবারের বাবা মা বুঝেনা তার সন্তান কে।
Sanju Afroz Sharna
দরজায় নক করেই চলছে মা, কিন্তুু নীল দরজা খুলবো না বলে আজ নিজের কাছে পণ করেছে।
বাবা-মায়ের একমাত্র মেয়ে, যেমন নম্র তেমনি ভদ্র। আর বেশ চাপা সভাবের। দরজা বন্ধ করে ড্রেসিন টেবিলের আয়নার সামনে বসে অঝরে কেঁদেই যাচ্ছে। মা এতোবার নক করে যখন কোনো সারা শব্দ পেলোনা
ভাবলো হয়তো ঘুমিয়ে পরেছে তাই সে চলে গেছে তার কাজে। নীল কোন শব্দ ছারাই কেঁদে চলছে। কেউ শুনছে না। নীলের একটা ছোট্ট পরিবার, যেখানে বাবা, মা,ভাই থাকে।
পরিবারটা ছোট হতে পারে কিন্তুু সেখানে কথার কোনো শেষ নেই। একদিন প্রতিদিন একটা না একটা নিয়ে ঝগড়া লেগেই থাকে। বাবা - মায়ের মধ্যে প্রতিনিয়ত মনো মালিন্য লেগেই থাকে।রোজ রোজ এমন ঝগড়া আর নীলের ভালো লাগেনা। মাঝে মাঝে ইচ্ছে হয় নীলের ও মরেই যাবে তাহলে হয়তো এসব থেকে শান্তি পাওয়া যাবে। অনেক বার ব্রেট, ছুরি নিয়ে কিছু একটা করার ব্যর্থ চেষ্টাও করেছিলো। ভিতু বলে কিছুই করতে পারেনি। শুধু কান্না করাই যেনো রুটিন হয়ে গেছে। কতোটা কষ্টে আছে, কতোটা সুখে আছে কাউকে বলতে পারেনা। মা কে বলবে তার ও কোন উপায় নেই, মাও এ পরিবারে এসে অনেক কষ্ট সহ্য করেছে। তাই নিজের দুঃখের কথা বলার মতো আর কেউ নেই।
নীল আয়না দেখতে আর ডায়রিতে লিখতে খুব ভালোবাসে। এরাই তার একমাত্র সঙ্গী, একমাত্র বন্ধু। যেখানে মনের কথা গুলো লিখে নিজেকে নিজের মনকে হালকা রাখে, রাখে বললে ভুল হবে আসলে রাখার চেষ্টা করে। আয়নার সামনে বসে কান্না করে কথা বলে। নীলের অনেক কষ্ট যা কেউ বুঝেনা, কেউ দেখেনা।
জানেন নীল কখন কারো প্রেমে পরেনি, কাউকে ভালোবাসেনি শুধু মান সম্মান এর ভয়ে। ও ভেবেছিল কারো সাথে কোনো সম্পর্কে জড়ালে তার বাবা হয়তো জেনে যাবে। তখন সে কষ্ট পাবে, সমাজে তার সম্মানহানি হবে। তাই ভুল করেও কোনো অন্যায় করেনি। বোকা মেয়ে একটা। সব সময় শুধু অন্যের চিন্তাই করেছে। নিজের দিকটা ভেবেই দেখেনি। তাই আজ তার বুকে আজ হাজারো কষ্টের মেলা বইছে।
সেই মেয়েটি আজ স্লিং ফ্যান এর সাথে ঝুলছে। সেই ভিতু মেয়েটা। গলায় প্যাঁচানো ওড়না, পা দুটি দুলেই চলছে। বুকে শত কষ্ট নিয়েই চলে গেলো।
সবাই অবাক চোখে দেখছে তাকে। বাবা মা কান্নায় ভেঙ্গে পরেছে। আজ আর কান্না করে কি হবে, নীল কি আর ফিরে আসবে? তাহলে কি লাভ এমন অভিনয় করে!
প্রতিটি মানুষের শান্তির একটি জায়গা থাকে আর সেটা হলো তার পরিবার। অথচ দেখুন নীল আজ এই পরিবারের কারনেই দড়িতে ঝুলছে। এ কেমন পরিবার যেখানে সুখ নেই, নেই শান্তির ছিটেফোঁটা।
যেই পরিবারের বাবা মা বুঝেনা তার সন্তান কে।
No comments