Header Ads

ক্যাটাগরি :সাহিত্য
সাব-ক্যাটাগরি :গল্প
শিরোনাম :কাজরীর মন ও বিষের বাঁশী
Nargis Nipa, মার্চ ২০১৭

কাজরী সে দিনের মত আজকে রাতেও ঘর থেকে বেরিয়ে গেল,কাজরীর বয়স সবে মাত্র এগারো কিংবা বারো চলছে।
বীজু আজকে রাতেও বাঁশী বাজিয়ে কাজরী কে ঘর থেকে বের করে নিয়ে আসলো।
বীজু গাঁয়ের মোড়লের ছেলে,তারও বয়স কাজরীর বয়সের মতই।
কাজরী ও বীজু দু'জনেই একই সাথে ছোট থেকে বড় হয়েছে।
কাজরী গাঁয়ের এক গরীব ঘরের মেয়ে,পরিবারে তার বাবা বলতে আর তেমন কেউই নেই।
কাজরীর গায়ের রং শ্যামলা কিন্তু দেখতে অনেক সুন্দর, যে কারোরই নজর কাড়ে।
বীজু খুব ভালো বাঁশী বাজাতে পারে,সে প্রায়ই কাজরীদের ঘরের পিছনে বড় কদম গাছ আছে। রাতে সেখানেই বাঁশী বাজায় আর কাজরী মনকে করে তোলে উতলা।।।

কাজরী ও কিছু চিন্তা না করেই ছুটে চলে যায় বীজুর কাছে কিন্তু গাঁয়ের সমাজ বলে যে একটা কথা আছে সেটা দু'জনেই ভুলে যায়।
আর ভুলবে নাই বা কেন বয়স তো আর অত বেশি না।বীজুর বাঁশী তে অনেক জাদু আছে মনে মনে ভাবে কাজরী।
এমন করেই কেটে যেত লাগল কয়েক বছর, কাজরী ধীরে ধীরে বড় হয়ে গেছে এখন অনেকের চোখে পরে তার যৌবন ভরা মুখ।গরীব  ঘরের মেয়ে বলে পড়ালেখা বেশি দূর এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেনি।
বীজু ও এখন আর ছোট নেই বেশ বড় সর হয়ে গেছে, সে এখন মেট্রিক পাশ করে একটা দোকান নিয়ে বসে।
কাজরী ও বীজু দু'জন দু'জনকে খুব ভালোবাসে অথচ কেউ কাউকে মুখ ফুটে বলতে পারেনি।

বীজু আগের মতই এখনো বাঁশী বাজায় কিন্তু কাজরীর দেখা মিলে না।কাজরী বেশ বড় হয়েছে তাই এখন অনেক কিছুই বুঝে নিজের মন কে নিজেই সান্ত্বনা দেয় এই বাঁশীর সুর তার কাছে এখন বিষের বাঁশী।
কাজরী জানে এই ভালোবাসা কেউ স্বীকৃতি দিবে না,না সমাজ না পরিবার।

No comments

Theme images by fpm. Powered by Blogger.