ক্যাটাগরি :মনের অভিব্যক্তি।
শিরোনাম : পাথুরে সপ্ন।
"পাথুরে সপ্ন" অনেকটা অন্ধকার গুহার শেষ প্রান্তে দূরথেকে দেখা একবিন্দু আলোর মতো । কিংবা উত্তপ্ত দুপুরে মরুভুমির বুকে তৃষ্ণার্ত বেদুয়িনের চোখে দূরের মরীচিকার মত । শান্ত - স্থির - প্রানহীন এই মরীচিকাকে দূর থেকে বেদুয়িনের চোখ কল্পনার পাতার পাখনা জড়িয়ে জীবন্ত ভাবতে ভালোবাসে ।
বেদুয়িন ভুলে যেতে চায়, এই মরীচিকাকে পেতে গিয়ে তাঁর আগে সকলেই ভীষণভাবেই ব্যার্থ ।
অগ্নীমাছের মত জলে ডুব দেয়ার দুঃসাহস করে বেদুয়িন । ভুলে যায়, যে জল ছাড়া সে বাঁচবে না , সেই জলই তাঁর অবধারিত মৃত্যুর কারণ ।
এই বেদুয়িনের মত আমরাও বেঁচে থাকি এই মরীচিকার দিকে চেয়েই । এর জন্যই হয়তো নৌকায় চেপে সূর্যের কাছে পৌঁছাবার অসম্ভব স্বপ্ন দেখতে পিছপা হই না ।
দিনশেষে দেখি, পঙ্খীরাজে চড়ে আসা অজস্র স্বপ্নগুলো আমাদের মস্তিষ্কের কুঠুরিতেই আটকা পড়ে আছে । আনমনা হয়ে একা বসে দেখতে থাকি রোজকার পৃথিবী তাঁর নিয়মেই চলছে । শুধু আমি ছাড়া কোনকিছুই যেন থেমে নেয় ।
অনেক যত্ন করে সাজানো স্বপ্নটাকে যখন ব্যার্থ হতে দেখি , অবাক চোখে এই মৃত স্বপ্নের লাশটাকে আমরা আফ্রোদিতির মত রূপবতী ভাবি । হইতো শুধু রূপবতী ভাবতে চাই , "রূপবতী লাশ" ভাবাটা যেন বেশ কষ্টের ।
অবধারিত ভাবেই, সেই কষ্টের রাতে আমাদেরকে সান্ত্বনা দিতে শহুরে বৃষ্টি কিংবা কাঁচপোকা কারোই কোন আগ্রহ থাকে না । মহাশূন্যের মত একা সে রাত পার করি আমরা ।
হইতো চোখের উপর নিয়ন্ত্রন হারিয়ে কয়েকফোটা নোনা জল গড়িয়ে পড়ে , হইতো দুহাঁতে মাথা চেপে ধরে আমরা ভুলে যেতে চাই কাঙ্ক্ষিত পাথুরে দেবীকে ।
কিন্তু ভাঙা স্বপ্নগুলো যখন পাজলের মত করোটির ভিতর উড়তে থাকে তখন সামনে জমাট অন্ধকার ছাড়া আর কোন আলোর বিন্দু দেখি না । রোজকার নিয়মে পৃথিবী চলার সময় রাত জেগে আলো দেয়া চাঁদটা অনেক আগেই অন্য কারো হাতে খুন হয়েছে । তাঁর দেয়া আলো থেকেও বঞ্চিত আজ আমি ,আমরা, সবাই ।
শিরোনাম : পাথুরে সপ্ন।
"পাথুরে সপ্ন" অনেকটা অন্ধকার গুহার শেষ প্রান্তে দূরথেকে দেখা একবিন্দু আলোর মতো । কিংবা উত্তপ্ত দুপুরে মরুভুমির বুকে তৃষ্ণার্ত বেদুয়িনের চোখে দূরের মরীচিকার মত । শান্ত - স্থির - প্রানহীন এই মরীচিকাকে দূর থেকে বেদুয়িনের চোখ কল্পনার পাতার পাখনা জড়িয়ে জীবন্ত ভাবতে ভালোবাসে ।
বেদুয়িন ভুলে যেতে চায়, এই মরীচিকাকে পেতে গিয়ে তাঁর আগে সকলেই ভীষণভাবেই ব্যার্থ ।
অগ্নীমাছের মত জলে ডুব দেয়ার দুঃসাহস করে বেদুয়িন । ভুলে যায়, যে জল ছাড়া সে বাঁচবে না , সেই জলই তাঁর অবধারিত মৃত্যুর কারণ ।
এই বেদুয়িনের মত আমরাও বেঁচে থাকি এই মরীচিকার দিকে চেয়েই । এর জন্যই হয়তো নৌকায় চেপে সূর্যের কাছে পৌঁছাবার অসম্ভব স্বপ্ন দেখতে পিছপা হই না ।
দিনশেষে দেখি, পঙ্খীরাজে চড়ে আসা অজস্র স্বপ্নগুলো আমাদের মস্তিষ্কের কুঠুরিতেই আটকা পড়ে আছে । আনমনা হয়ে একা বসে দেখতে থাকি রোজকার পৃথিবী তাঁর নিয়মেই চলছে । শুধু আমি ছাড়া কোনকিছুই যেন থেমে নেয় ।
অনেক যত্ন করে সাজানো স্বপ্নটাকে যখন ব্যার্থ হতে দেখি , অবাক চোখে এই মৃত স্বপ্নের লাশটাকে আমরা আফ্রোদিতির মত রূপবতী ভাবি । হইতো শুধু রূপবতী ভাবতে চাই , "রূপবতী লাশ" ভাবাটা যেন বেশ কষ্টের ।
অবধারিত ভাবেই, সেই কষ্টের রাতে আমাদেরকে সান্ত্বনা দিতে শহুরে বৃষ্টি কিংবা কাঁচপোকা কারোই কোন আগ্রহ থাকে না । মহাশূন্যের মত একা সে রাত পার করি আমরা ।
হইতো চোখের উপর নিয়ন্ত্রন হারিয়ে কয়েকফোটা নোনা জল গড়িয়ে পড়ে , হইতো দুহাঁতে মাথা চেপে ধরে আমরা ভুলে যেতে চাই কাঙ্ক্ষিত পাথুরে দেবীকে ।
কিন্তু ভাঙা স্বপ্নগুলো যখন পাজলের মত করোটির ভিতর উড়তে থাকে তখন সামনে জমাট অন্ধকার ছাড়া আর কোন আলোর বিন্দু দেখি না । রোজকার নিয়মে পৃথিবী চলার সময় রাত জেগে আলো দেয়া চাঁদটা অনেক আগেই অন্য কারো হাতে খুন হয়েছে । তাঁর দেয়া আলো থেকেও বঞ্চিত আজ আমি ,আমরা, সবাই ।
No comments