#চা
#সঞ্জয় দেবনাথ
===========================
সবসময় যে নুসরাতের সাথে খুনসুটি হয় তা নয়,গভীর ভালোবাসায় মৌন হয়েও থাকি।খুনসুটিও এক ধরনের ভালোবাসা!তবে খুনসুটি থেকে অনেকসময় ঝগড়ায় পৌঁছে যায়।লেবু বেশি চিপলে যা হয় আর কী!নুসরাত তো আর লেবু না যে ওকে চিপলে ও মুখ দিয়ে তিতা তিতা কথা ডেলিভারি করবে!খুনসুটি ঝগড়ায় পরিণত হলে অন্য অনেক মেয়েই গাট্টিবোঁচকা নিয়ে হনহন করে বাপের বাড়ি রওনা হয়।নুসরাত এমনটা করে না।সে কিছুক্ষণ মুখ চালিয়ে চুপ করে থাকবে।যখন চুপ থাকবে তখন পেটে বোম মারলেও কথা বের করা যাবে না মুখ দিয়ে।
একটা মেয়ে কেন যে আরেকটা মেয়ের সুনাম শুনলে বাচ্চাদের মতো রাগ করে তা বোধগম্য নয়।সকালে বললাম "নুসু,তোমার চায়ের চেয়ে তাসফিয়া আপুর চা ভালো হয়।লিকার বেশিও না,কমও না।বরাবর ঠিক আছে।"
নুসরাত সামনে আসলো,কোমরে দু'হাত রাখলো।এমনটা করলে সবসময়ই ওকে ভালো লাগে।বললাম "বাহ্,একেবারে পরীর মতো লাগছে তোমাকে।এসো আদর করে দেই।"
নুসু মুখটা এমনভাবে বাঁকালো যার অর্থ হচ্ছে রাখো তোমার আদর!আদর আমি করতেছি,জাস্ট ওয়েট!
আবার বললাম "মুখ বাঁকালে আরো দারুণ লাগে!আরো বাঁকাও তো নুসু!"
নুসু বললো তাসফিয়ার চা আমার চায়ের চেয়ে ভালো?
বন্দুকের নলের সামনে দাঁড়িয়ে অতি সৎ মানুষও মিথ্যা কথা বলে।নুসু কোমরে হাত দিয়ে সামনে দাঁড়ানো।সে কী বন্দুকের চেয়ে কোনো অংশে কম!ইদানীং আবার হাতে নখও রাখছে বড় বড়।হাতে নখ আছে কিন্তু খামচি দিতে পারে না,এমন মেয়ে অন্য গ্রহে থাকলেও পৃথিবীতে নাই!
নুসরাতকে বললাম "আরে ধুর!কোথায় তাসফিয়া,কোথায় তুমি!তুমি বাম হাত দিয়ে যে চা বানাও,তাসফিয়া দুই হাত দিয়েও সে চা বানাতে পারে না।"
এরপর ঢকঢক করে নুসুর বানানো চা খেয়ে ফেললাম।বললাম "দারুণ চা!আরেক কাপ দিবে সোনা!?"
নুসু "আর ঢং করিও না" বলে চায়ের কাপটা নিয়ে ভিতরে চলে গেল।সম্ভবত আরেক কাপ দিবে চা।কথা সেটা না।আরেক কাপ না হয় খেলাম।বন্দুকের নলের সামনে দাঁড়িয়ে বিষও খাওয়া যায়।কিন্তু গরম চা যে ঢকঢক করে খেতে গিয়ে গলা পুড়লো,এই গলার কী হবে!
#গল্প
#সঞ্জয় দেবনাথ
===========================
সবসময় যে নুসরাতের সাথে খুনসুটি হয় তা নয়,গভীর ভালোবাসায় মৌন হয়েও থাকি।খুনসুটিও এক ধরনের ভালোবাসা!তবে খুনসুটি থেকে অনেকসময় ঝগড়ায় পৌঁছে যায়।লেবু বেশি চিপলে যা হয় আর কী!নুসরাত তো আর লেবু না যে ওকে চিপলে ও মুখ দিয়ে তিতা তিতা কথা ডেলিভারি করবে!খুনসুটি ঝগড়ায় পরিণত হলে অন্য অনেক মেয়েই গাট্টিবোঁচকা নিয়ে হনহন করে বাপের বাড়ি রওনা হয়।নুসরাত এমনটা করে না।সে কিছুক্ষণ মুখ চালিয়ে চুপ করে থাকবে।যখন চুপ থাকবে তখন পেটে বোম মারলেও কথা বের করা যাবে না মুখ দিয়ে।
একটা মেয়ে কেন যে আরেকটা মেয়ের সুনাম শুনলে বাচ্চাদের মতো রাগ করে তা বোধগম্য নয়।সকালে বললাম "নুসু,তোমার চায়ের চেয়ে তাসফিয়া আপুর চা ভালো হয়।লিকার বেশিও না,কমও না।বরাবর ঠিক আছে।"
নুসরাত সামনে আসলো,কোমরে দু'হাত রাখলো।এমনটা করলে সবসময়ই ওকে ভালো লাগে।বললাম "বাহ্,একেবারে পরীর মতো লাগছে তোমাকে।এসো আদর করে দেই।"
নুসু মুখটা এমনভাবে বাঁকালো যার অর্থ হচ্ছে রাখো তোমার আদর!আদর আমি করতেছি,জাস্ট ওয়েট!
আবার বললাম "মুখ বাঁকালে আরো দারুণ লাগে!আরো বাঁকাও তো নুসু!"
নুসু বললো তাসফিয়ার চা আমার চায়ের চেয়ে ভালো?
বন্দুকের নলের সামনে দাঁড়িয়ে অতি সৎ মানুষও মিথ্যা কথা বলে।নুসু কোমরে হাত দিয়ে সামনে দাঁড়ানো।সে কী বন্দুকের চেয়ে কোনো অংশে কম!ইদানীং আবার হাতে নখও রাখছে বড় বড়।হাতে নখ আছে কিন্তু খামচি দিতে পারে না,এমন মেয়ে অন্য গ্রহে থাকলেও পৃথিবীতে নাই!
নুসরাতকে বললাম "আরে ধুর!কোথায় তাসফিয়া,কোথায় তুমি!তুমি বাম হাত দিয়ে যে চা বানাও,তাসফিয়া দুই হাত দিয়েও সে চা বানাতে পারে না।"
এরপর ঢকঢক করে নুসুর বানানো চা খেয়ে ফেললাম।বললাম "দারুণ চা!আরেক কাপ দিবে সোনা!?"
নুসু "আর ঢং করিও না" বলে চায়ের কাপটা নিয়ে ভিতরে চলে গেল।সম্ভবত আরেক কাপ দিবে চা।কথা সেটা না।আরেক কাপ না হয় খেলাম।বন্দুকের নলের সামনে দাঁড়িয়ে বিষও খাওয়া যায়।কিন্তু গরম চা যে ঢকঢক করে খেতে গিয়ে গলা পুড়লো,এই গলার কী হবে!
#গল্প
No comments