বিকেল থেকে "হুদাই" মার্কা ডিপ্রেশনে ভুগছি। যেহেতু আমার মতে সুইসাইড একজনের মৌলিক অধিকার। তাই আজ ইশার নামাজ পরেই সুইসাইড করতে সিদ্ধান্ত নিলাম। হঠাত মনে হলো এলাকার টঙয়ের দোকানে এক কাপ চা খেয়ে সুইসাইড করি। আমি কোন নবাবজাদা না যে আমাকে জাহান্নামে চা খাওয়ার ব্যবস্থা করে দেয়া হবে।
"দুলহান" বিউটি পার্লারের সামনে অল্পবয়সী কয়েকজন তরুনী দাঁড়িয়ে আছেন। তাদের সামনে গিয়ে বললাম; "এইযে রমনীর দল! আপনাদের মাঝে কেও কি আমাকে এক কাপ চা খাওয়াবেন"?
প্রশ্ন শুনে দু তিনজন হেসে গড়াগড়ি প্রায় অবস্থা! মনে হচ্ছে আমি কোন মারাত্মক জোকস বলে ফেলছি!
তারমধ্যে একজন মোটসোটা মেয়ে আমাকে বললো "চলেন আমি খাওয়াবো"।
মোটা মেয়েরা সাধারণত অনেক জ্ঞানী আর কড়া মেজাজের হয়। এই মেয়েটা কেমন জানি কোমল!
আমি--- আপনার নামটা?
"জেবিন" হাসিমুখে জবাব দিলো মেয়েটা।
আমি--- আপনাকে "জেবিন আন্টি" ডাকি? আপনার চোখেমুখে মায়া,মমতা,স্নেহ খেলা করে। আপনাকে আন্টি না বললে আমার পাপ হবে।
জেবিন "আন্টি" মুখ ফুলিয়ে রইলেন!
জেবিন--- টংয়ের চায়ের দোকানে বসে চা খাওয়া স্বাস্থ্যসম্মত না। এতে নানা রকম সমস্যা দেখা দেয়।চলেন ওই রেস্টুরেন্টে যাই!
আমি---- রেস্টুরেন্টে আমার দম বন্ধ হয়ে যায়।
আমি চুপচাপ চা খাচ্ছি। চা খেতে হয় চুপ করে। কারও সাথে গল্প করা যায় না। টং দোকানের চাচা শ্রেনীর মানুষগুলো অদ্ভুত চোখে তাকায় আছে। যেন আমি এই এলাকার না।কোয়েকাফ নগরী থেকে একটা মোটাসোটা পরী নিয়ে চলে আসছি!
পাশের দোকানে ফুল ভলিউমে টিভি চলছে। দোকানদার বিরসমুখে চ্যানেল চেন্জ করছে। খেলার চ্যানেল, হাসিনা-খালেদা,নরেন্দ্র মোদি থেকে সানি লিওনের ডলেন সোনেদি কোনটাই দোকানীর মনে ধরছে না!
শহরের রাস্তায় একা হাঁটতে ইচ্ছা করছে। অনেকদিন কোন ব্যস্ত রাস্তায় একা হাটা হয় না। আজকেও হবে না। কারন জেরিন আন্টি।
বিউটিপাল্লারের সামনে এসে দাড়ালাম। মেয়েদের ভিড়। জেরিন আন্টি থেকে বিদায় নিতে হবে।
আমি-- ধন্যবাদ আন্টি। চায়ের জন্য।
জেরিন--- প্লিজ! আমাকে আন্টি ডাকবেন না। বিরক্ত লাগে।
আমি---- দয়া করে বিরক্তিবোধ চোখে মুখে ফুটাবেন না। আপনাকে ভয়ংকর ডাইনির মতো লাগবে। এবার ৫টাকা দিন ইচ্ছা হলে।
জেরিন--- কেন!? ৫টাকা কেন?
আমি---- ললিপপ খাবো! দিন!
কথা শুনে চাপা স্বরে খিলখিল করে হেসে উঠলো সবাই।
অনেকটা সময় পার হয়েছে। এবার ফেরা দরকার। যদিও জানি ফিরে যাবার রাস্তাটা আর আগের মত নেই।
তবু ফিরতে হবে।তবু ফিরতে হয়।
সুইসাইড করবো না। আপাতত "মৌলিক অধিকার" দূরে থাক। ললিপপে খেতে হলেও বাচতে হবে। টং দোকানের চায়ের লোভেও বাচতে হবে। যারা আছে তাদের নিয়েই বেঁচে থাকতে হবে......!!!
লেখক--- MD Shaiful Islam Sajon
"দুলহান" বিউটি পার্লারের সামনে অল্পবয়সী কয়েকজন তরুনী দাঁড়িয়ে আছেন। তাদের সামনে গিয়ে বললাম; "এইযে রমনীর দল! আপনাদের মাঝে কেও কি আমাকে এক কাপ চা খাওয়াবেন"?
প্রশ্ন শুনে দু তিনজন হেসে গড়াগড়ি প্রায় অবস্থা! মনে হচ্ছে আমি কোন মারাত্মক জোকস বলে ফেলছি!
তারমধ্যে একজন মোটসোটা মেয়ে আমাকে বললো "চলেন আমি খাওয়াবো"।
মোটা মেয়েরা সাধারণত অনেক জ্ঞানী আর কড়া মেজাজের হয়। এই মেয়েটা কেমন জানি কোমল!
আমি--- আপনার নামটা?
"জেবিন" হাসিমুখে জবাব দিলো মেয়েটা।
আমি--- আপনাকে "জেবিন আন্টি" ডাকি? আপনার চোখেমুখে মায়া,মমতা,স্নেহ খেলা করে। আপনাকে আন্টি না বললে আমার পাপ হবে।
জেবিন "আন্টি" মুখ ফুলিয়ে রইলেন!
জেবিন--- টংয়ের চায়ের দোকানে বসে চা খাওয়া স্বাস্থ্যসম্মত না। এতে নানা রকম সমস্যা দেখা দেয়।চলেন ওই রেস্টুরেন্টে যাই!
আমি---- রেস্টুরেন্টে আমার দম বন্ধ হয়ে যায়।
আমি চুপচাপ চা খাচ্ছি। চা খেতে হয় চুপ করে। কারও সাথে গল্প করা যায় না। টং দোকানের চাচা শ্রেনীর মানুষগুলো অদ্ভুত চোখে তাকায় আছে। যেন আমি এই এলাকার না।কোয়েকাফ নগরী থেকে একটা মোটাসোটা পরী নিয়ে চলে আসছি!
পাশের দোকানে ফুল ভলিউমে টিভি চলছে। দোকানদার বিরসমুখে চ্যানেল চেন্জ করছে। খেলার চ্যানেল, হাসিনা-খালেদা,নরেন্দ্র মোদি থেকে সানি লিওনের ডলেন সোনেদি কোনটাই দোকানীর মনে ধরছে না!
শহরের রাস্তায় একা হাঁটতে ইচ্ছা করছে। অনেকদিন কোন ব্যস্ত রাস্তায় একা হাটা হয় না। আজকেও হবে না। কারন জেরিন আন্টি।
বিউটিপাল্লারের সামনে এসে দাড়ালাম। মেয়েদের ভিড়। জেরিন আন্টি থেকে বিদায় নিতে হবে।
আমি-- ধন্যবাদ আন্টি। চায়ের জন্য।
জেরিন--- প্লিজ! আমাকে আন্টি ডাকবেন না। বিরক্ত লাগে।
আমি---- দয়া করে বিরক্তিবোধ চোখে মুখে ফুটাবেন না। আপনাকে ভয়ংকর ডাইনির মতো লাগবে। এবার ৫টাকা দিন ইচ্ছা হলে।
জেরিন--- কেন!? ৫টাকা কেন?
আমি---- ললিপপ খাবো! দিন!
কথা শুনে চাপা স্বরে খিলখিল করে হেসে উঠলো সবাই।
অনেকটা সময় পার হয়েছে। এবার ফেরা দরকার। যদিও জানি ফিরে যাবার রাস্তাটা আর আগের মত নেই।
তবু ফিরতে হবে।তবু ফিরতে হয়।
সুইসাইড করবো না। আপাতত "মৌলিক অধিকার" দূরে থাক। ললিপপে খেতে হলেও বাচতে হবে। টং দোকানের চায়ের লোভেও বাচতে হবে। যারা আছে তাদের নিয়েই বেঁচে থাকতে হবে......!!!
লেখক--- MD Shaiful Islam Sajon
No comments