ঐঁ_যে_গেলো_এই_যে_আইলো।
#ঐঁ_যে_গেলো_এই_যে_আইলো।
#প্রবন্ধ।
#লেখক_সাগর_ইসলাম।
এই যা!"
কলম নিচে পরে গেল,না কী মন?"নিশ্চই মনও পরেছে।"তা না হলে কলম হাতের পেশী শক্তি হতে ইষৎ ছুটে গিয়ে মাটিতে পরে যাবার কথা নয়!"কারন, মন যদি কাজ না করে, শক্তি কাজ করা সম্ভব নয়। মনের শক্তি ব্যতিতো দেহ শক্তি দীর্ঘস্থায়ী হবার নয়!"আর তার প্রমান যথেটষ্টা স্বামী স্ত্রীর সঙ্গমাসময়ই বলে দেয়।। যাই হোক!"আমিতো লেখার ধ্যানে বিভোর ছিলাম?"সেখান থেকে মন কোনদিকে ধাক্কা মেরে চলে গেলো অনত্র কোন বর্ণহিন রঙের দরিয়ায়? "
হ্যা,"আমি লিখতেছিলাম মন নিয়েই। বুকের ভিতরে ইন্দ্র নামের এক রিপু আছে। মস্তিষ্কের সকল চিন্তা চেতনা সেই রিপুতে এসে কলকাঠি নাড়ে।আর সেই কলকাঠি গরম সিদ্ধ পানিতে টগবগিয়ে মসুর ডালের মতো রিপুর এপার ওপার ঠেলতে থাকে। সেই ঠেলা খেয়ে আমরা পরে যাই দুর্বিপাকে। আর সেই দুর্বিপাক বহন বা গুদামঘর রিপুকেই বলে থাকি "মন।"এই মন নামক উড়ালপাখিটির প্রত্যক্ষফল কোনো ডানা না থাকলেও অদৃশ্যতার ডানা দৈর্ঘ্যপ্রস্থের বাইরে। বলা যেতে পারে দিগন্তহীন। এর কোন সিমান্তঘাটি নেই। নেই কোন ওজনস্তর। এই মনযে কখন কোন দিকে একমুহুর্তেই সর্বশক্তি ন্যানোমিটার গতী নিয়ে পূর্ব, পশ্চিম, উত্তর, দক্ষিণ দিক বিজয়ান্তী ধায় তা কেও সঠিক সমাধান দিতে পারবেনা। এবংকী কোন ব্যক্তি নিজেই জানেনা যে, তার মনের বর্তমান এবং ঘটমান বর্তমান কী!" বর্তমানে যে মন কল্পনাশক্তিতে প্রেমিকার চুমু খাচ্ছে ঘটমান বর্তমান সে মন মায়ের শোকে কাঁদতেও পারে!!"
প্রমথ চৌধুরী যে খেত্রে বলেছেন যে, "মানুষের মন যেমন উচুতেও উঠতে পারে তেমন নিচুতেও নামতে পারে"। কথাটির সাথে আমি একমৎ নই। মানুষের মন শুধু উচু নিচুতেই উঠানামা করেনা বরং উচুনিচু সহ সর্ব আনাচে কোনাচে, ভিতরে বাহিরে, আকাশে পাতালে, মান অপমান যত দিক আছে সর্বত্রই দৌড় পারে। তার যথার্থ উদাহরনও দিচ্ছি। "
" এইতো সপ্তাহ খানেক পূর্বের কথাই ধরি।"বৃহস্পতিবার বিকেল বেলায় আমি আমার দালানের ছাদের এক কোনে বসে রবীন্দ্রসংগীত শুনতে ছিলাম আর মুখে ছিলো এক শলাকা সিগারেট। গানের ধ্যানে আমিও বেশ সাধক হয়ে গিয়েছিলাম। গানের তালে তালে আমার ঠোটও তাল মিলাচ্ছিলো। অন্যকোন চিন্তা সেখানে মৃত। হটাৎ করেই কেমন যেন মনটা কুনোব্যাঙেরর মতো ফাল দিয়ে উঠলো। মনে এসে ধ্যানের বাসা বাধলো প্রেমীকা "অনুসূয়া!" অনুসূয়ার নিসঙ্গতার জ্বালা লাভ করলো বিরহতে। আনন্দরাজ মনে বিরহের জ্যাম বাধলো। এ বিরহ কী আর জ্যাম ছাড়ে, আরো বাড়তে থাকে! " অনুসূয়ার প্রত্যেকটি পবিত্র প্রেমের সুমিষ্ট সৃতিকথা দেহ থেকে অন্তরে ঘাঁ দিতে লাগলো।ঘাঁর আঘাতে রক্তপাত হয়নি, হয়েছে অঘাত বিরহপাত!" বিরহের বহিঃপ্রকাশ চোখের কোনা দিয়ে বাধনহারা জল ঝড়তেই রবীন্দ্রের "দ্বার খোল" গানটি কানে জাগলো। বিরহ মেরে ফেলে চলে গেলাম প্রকৃতির প্রেমে। নিজেও বলতে লাগলাম" ও রে গৃহবাসী খোল দ্বার খোল,লাগলো যে দোল! জলো তলে তণু বনে লাগলো যে দোল, দ্বার খোল, দ্বার খোল!"
যেখানে বিরহে মরেই যাচ্ছিলাম সেখানে প্রকৃতি আমায় বাঁচিয়ে দিলো। মনে মনে একটু হাসলামোও বটে। "মনের মনে আনন্দে মেতে উঠতেনা উঠতেই ছাদ ভেদ করে চোখের দৃষ্টি রাস্তায় পরলো। রাস্তায় দেখতে পেলাম এক চারপাঁচ বয়সের শিশুছেলে ল্যাংটা হয়ে টমটম গাড়ির টমটমানি শব্দে বৃত্তাকার প্যাচে পা ফেলছে। তা দেখে আর প্রকৃতির প্রেম রইলোনা।মনের যে আর তড় সহ্য হইলোনা শিশুর ল্যাংটামি আনন্দ দেখে। আমার মনোও আমায় নিয়ে গেলো আমার ল্যাংটামি শৈশব কালে। তবে, মনে আমাকে টমটমগাড়ির দৃশ্যে নিয়ে যায়নী, নিয়ে গেছে ল্যাংটা হয়ে যে হাটুকাদা নদীর জলে মাছ ধরতাম সে দৃশ্যে। ভয়ও পেলাম শৈশব সৃতির
সৃতিচারনের আনন্দের ঘরে। কারন,সেদিন মাছ ধরতে গিয়ে মাটিধরা
(মাইটাধরা)সাপ ধরেছিলেম। মনের কারনে সেই শৈশব ভয় বর্তমানের গায়ের লোম শিউরে দিলো। একটু দির্ঘশ্বাস নিতে না, আছরের আযানের শব্দ শুনতে পেলাম। ঢের মন তখন নিয়ে গেলো আমায় ধর্মের পথে। আযানের মধুর সুর শুনে মন একদৌড়ে চলে গেলো বিল্লাল(রাঃ) ভাবনায়। আযানের শব্দে আমি বিল্লাম(রাঃ) এর স্বর্গসূধা কণ্ঠের অনুসূচনায় ডুবে যাই!!"
যাই হোক। মনের যেমন দিগন্ত নেই, তেমনি আমার দিকহারা হলে চলবেনা। তাহলে যে মূল উদ্দেশ্যও মনের মতো অসমাপ্ত হয়ে রবে। এই "যে, খানিকসময়ে একটি মন আমায় কতটি দিকে হাসিয়েছে, কাঁদিয়েছি,সাধনে মজিয়েছে?" তাহলে মন সেখানে শুধু উচুনিচু কেনো তারও বেশি বৈশিষ্ট সম্পূর্ণ!"
যে পুরুষ এখন একটি নারীকে দেখে বোনের সন্মানে সন্মান করছে একটু পরেই হয়তো সে পুরুষই নারীর নগ্নরূপ দেখে স্তনে চুমু দিতে মনে মেতে উঠবে! যে পাঠক জাহেলিয়া যুগের গল্প পরছে, সে পাঠকই হয়তো তৎক্ষণাৎ লাইব্রেরীতে দেহতত্ত্বের, কিংবা শেক্সপিয়রের বই খুজবে!যে নারী ধান ভানিতে ব্যস্ত সে নারী হয়তোবা চলে যাবে কোনো এক মিথ্যে অজুহাত দেখিয়ে কাজলাদিঘির পারে! এখানে ব্যক্তির কোন দোষ নেই। মন, মানুষকে সমসময়ি চাপে রাখে, গতীশীল রাখে। এই মনের কারনেই মানুষ স্থীর অবস্থায় থাকতে পারেনা। মন, মানুষের সুখ দুঃখের নিয়মাত্রান্তিক ভাবে চলে না। মন, অগোছালো ভাবে তার গতীশীলতা বজায় রাখে।
মন, এমন একটা আশ্চর্য অদৃশ্য চোখ, যা ডানে তাকালে অসৎ, বামে তাকালে সৎ, উপরে তাকালে কবর,নিচে তাকালে খোদা,সামনে তাকালে নরক, পিছনে তাকালে স্বর্গ দেখতেও পারে!!" কারন,মনের দেখার কোন বীধি বিধান, কোন নিয়ম শৃঙ্খল নেই। এই মন একটি হযবরল(এলোমেলো) ভাবনাত্তিক বিষয়। কখন কার মনে কী এসে কী জ্বালা,আনন্দ,হাসি,কান্না,বিরহ,বেদনা,দিবে তা অজানা। মন কী করবে, কী করতে গিয়ে কী করছে, কিংবা যা করা হবে তার অতিতে ফেরা হবে তার কোন সুসন্ধান দিতে পারবেনা। মন একটি অবিনশ্বর অরাজকীয় অদৃশ্য মানব চেতন,কথন দুইয়ই।মন যেমন এলোমেলো স্বপ্নও দেখতে পারে তেমনি এলোমেলো কথা গোছিয়েও বলতে পারে।।আমরা যে অসম্ভাবি কোন কাজে "হ্যা,না"দুটির মধ্য ঘোরপ্যাঁচ বোধ করি তার ভিতরেও মনের গতী ল্যাটিমঝিমের মতো চলতে থাকে। "হ্যা,না,না,হ্যা,না,হ্যা,হ্যাহ,হ্যাহ্,নাহ্,নাহ,"----
তাই আমি আমার পান্ডুহীন ঙ্গান থেকে মনের গতীশীলতার একটি নামও দিতে ইচ্ছে পোষন করছি।"তবে "হযবরল (এলোমেলো),দিলে তা হয়তো শুধু অগোছালো বর্ণের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে! কোন রসপ্রেম,চেতনা,সুদূরবর্তী চলাচল থাকবেনা। কিন্তু মনের এই অসমাপ্ত আজন্ম গতীশীলতায় প্রেম আছে,রস,বস,বেদনার দশ সবই আছে। মন আমাদেরই শত্রু আমাদেরই মিত্র।সেখেত্রে তাকে ঝগড়ারাটে উৎপিড়িতো বন্ধু হিসেবে গন্য করা যায়।।
যতই তরে "দেত্, দেত্,দেত্তোরিকী?"
তবুও তুই আমারই আশের ঘরের"সখা-সখী!"
ধাঁধাঁর ছলে নাম দেবোলো---!"
"ঐঁ যে গেলো এই যে আইলো!!"
পরিশেষে একটি কথাই বলবো:"মন এমন একটা আশ্চর্য্য গতীশীল পিড়ন যে স্বর্গে বসেও নরকের চিত্র অনুসূচনা করবে!!"
#সমাপ্ত।।
#প্রবন্ধ।
#লেখক_সাগর_ইসলাম।
এই যা!"
কলম নিচে পরে গেল,না কী মন?"নিশ্চই মনও পরেছে।"তা না হলে কলম হাতের পেশী শক্তি হতে ইষৎ ছুটে গিয়ে মাটিতে পরে যাবার কথা নয়!"কারন, মন যদি কাজ না করে, শক্তি কাজ করা সম্ভব নয়। মনের শক্তি ব্যতিতো দেহ শক্তি দীর্ঘস্থায়ী হবার নয়!"আর তার প্রমান যথেটষ্টা স্বামী স্ত্রীর সঙ্গমাসময়ই বলে দেয়।। যাই হোক!"আমিতো লেখার ধ্যানে বিভোর ছিলাম?"সেখান থেকে মন কোনদিকে ধাক্কা মেরে চলে গেলো অনত্র কোন বর্ণহিন রঙের দরিয়ায়? "
হ্যা,"আমি লিখতেছিলাম মন নিয়েই। বুকের ভিতরে ইন্দ্র নামের এক রিপু আছে। মস্তিষ্কের সকল চিন্তা চেতনা সেই রিপুতে এসে কলকাঠি নাড়ে।আর সেই কলকাঠি গরম সিদ্ধ পানিতে টগবগিয়ে মসুর ডালের মতো রিপুর এপার ওপার ঠেলতে থাকে। সেই ঠেলা খেয়ে আমরা পরে যাই দুর্বিপাকে। আর সেই দুর্বিপাক বহন বা গুদামঘর রিপুকেই বলে থাকি "মন।"এই মন নামক উড়ালপাখিটির প্রত্যক্ষফল কোনো ডানা না থাকলেও অদৃশ্যতার ডানা দৈর্ঘ্যপ্রস্থের বাইরে। বলা যেতে পারে দিগন্তহীন। এর কোন সিমান্তঘাটি নেই। নেই কোন ওজনস্তর। এই মনযে কখন কোন দিকে একমুহুর্তেই সর্বশক্তি ন্যানোমিটার গতী নিয়ে পূর্ব, পশ্চিম, উত্তর, দক্ষিণ দিক বিজয়ান্তী ধায় তা কেও সঠিক সমাধান দিতে পারবেনা। এবংকী কোন ব্যক্তি নিজেই জানেনা যে, তার মনের বর্তমান এবং ঘটমান বর্তমান কী!" বর্তমানে যে মন কল্পনাশক্তিতে প্রেমিকার চুমু খাচ্ছে ঘটমান বর্তমান সে মন মায়ের শোকে কাঁদতেও পারে!!"
প্রমথ চৌধুরী যে খেত্রে বলেছেন যে, "মানুষের মন যেমন উচুতেও উঠতে পারে তেমন নিচুতেও নামতে পারে"। কথাটির সাথে আমি একমৎ নই। মানুষের মন শুধু উচু নিচুতেই উঠানামা করেনা বরং উচুনিচু সহ সর্ব আনাচে কোনাচে, ভিতরে বাহিরে, আকাশে পাতালে, মান অপমান যত দিক আছে সর্বত্রই দৌড় পারে। তার যথার্থ উদাহরনও দিচ্ছি। "
" এইতো সপ্তাহ খানেক পূর্বের কথাই ধরি।"বৃহস্পতিবার বিকেল বেলায় আমি আমার দালানের ছাদের এক কোনে বসে রবীন্দ্রসংগীত শুনতে ছিলাম আর মুখে ছিলো এক শলাকা সিগারেট। গানের ধ্যানে আমিও বেশ সাধক হয়ে গিয়েছিলাম। গানের তালে তালে আমার ঠোটও তাল মিলাচ্ছিলো। অন্যকোন চিন্তা সেখানে মৃত। হটাৎ করেই কেমন যেন মনটা কুনোব্যাঙেরর মতো ফাল দিয়ে উঠলো। মনে এসে ধ্যানের বাসা বাধলো প্রেমীকা "অনুসূয়া!" অনুসূয়ার নিসঙ্গতার জ্বালা লাভ করলো বিরহতে। আনন্দরাজ মনে বিরহের জ্যাম বাধলো। এ বিরহ কী আর জ্যাম ছাড়ে, আরো বাড়তে থাকে! " অনুসূয়ার প্রত্যেকটি পবিত্র প্রেমের সুমিষ্ট সৃতিকথা দেহ থেকে অন্তরে ঘাঁ দিতে লাগলো।ঘাঁর আঘাতে রক্তপাত হয়নি, হয়েছে অঘাত বিরহপাত!" বিরহের বহিঃপ্রকাশ চোখের কোনা দিয়ে বাধনহারা জল ঝড়তেই রবীন্দ্রের "দ্বার খোল" গানটি কানে জাগলো। বিরহ মেরে ফেলে চলে গেলাম প্রকৃতির প্রেমে। নিজেও বলতে লাগলাম" ও রে গৃহবাসী খোল দ্বার খোল,লাগলো যে দোল! জলো তলে তণু বনে লাগলো যে দোল, দ্বার খোল, দ্বার খোল!"
যেখানে বিরহে মরেই যাচ্ছিলাম সেখানে প্রকৃতি আমায় বাঁচিয়ে দিলো। মনে মনে একটু হাসলামোও বটে। "মনের মনে আনন্দে মেতে উঠতেনা উঠতেই ছাদ ভেদ করে চোখের দৃষ্টি রাস্তায় পরলো। রাস্তায় দেখতে পেলাম এক চারপাঁচ বয়সের শিশুছেলে ল্যাংটা হয়ে টমটম গাড়ির টমটমানি শব্দে বৃত্তাকার প্যাচে পা ফেলছে। তা দেখে আর প্রকৃতির প্রেম রইলোনা।মনের যে আর তড় সহ্য হইলোনা শিশুর ল্যাংটামি আনন্দ দেখে। আমার মনোও আমায় নিয়ে গেলো আমার ল্যাংটামি শৈশব কালে। তবে, মনে আমাকে টমটমগাড়ির দৃশ্যে নিয়ে যায়নী, নিয়ে গেছে ল্যাংটা হয়ে যে হাটুকাদা নদীর জলে মাছ ধরতাম সে দৃশ্যে। ভয়ও পেলাম শৈশব সৃতির
সৃতিচারনের আনন্দের ঘরে। কারন,সেদিন মাছ ধরতে গিয়ে মাটিধরা
(মাইটাধরা)সাপ ধরেছিলেম। মনের কারনে সেই শৈশব ভয় বর্তমানের গায়ের লোম শিউরে দিলো। একটু দির্ঘশ্বাস নিতে না, আছরের আযানের শব্দ শুনতে পেলাম। ঢের মন তখন নিয়ে গেলো আমায় ধর্মের পথে। আযানের মধুর সুর শুনে মন একদৌড়ে চলে গেলো বিল্লাল(রাঃ) ভাবনায়। আযানের শব্দে আমি বিল্লাম(রাঃ) এর স্বর্গসূধা কণ্ঠের অনুসূচনায় ডুবে যাই!!"
যাই হোক। মনের যেমন দিগন্ত নেই, তেমনি আমার দিকহারা হলে চলবেনা। তাহলে যে মূল উদ্দেশ্যও মনের মতো অসমাপ্ত হয়ে রবে। এই "যে, খানিকসময়ে একটি মন আমায় কতটি দিকে হাসিয়েছে, কাঁদিয়েছি,সাধনে মজিয়েছে?" তাহলে মন সেখানে শুধু উচুনিচু কেনো তারও বেশি বৈশিষ্ট সম্পূর্ণ!"
যে পুরুষ এখন একটি নারীকে দেখে বোনের সন্মানে সন্মান করছে একটু পরেই হয়তো সে পুরুষই নারীর নগ্নরূপ দেখে স্তনে চুমু দিতে মনে মেতে উঠবে! যে পাঠক জাহেলিয়া যুগের গল্প পরছে, সে পাঠকই হয়তো তৎক্ষণাৎ লাইব্রেরীতে দেহতত্ত্বের, কিংবা শেক্সপিয়রের বই খুজবে!যে নারী ধান ভানিতে ব্যস্ত সে নারী হয়তোবা চলে যাবে কোনো এক মিথ্যে অজুহাত দেখিয়ে কাজলাদিঘির পারে! এখানে ব্যক্তির কোন দোষ নেই। মন, মানুষকে সমসময়ি চাপে রাখে, গতীশীল রাখে। এই মনের কারনেই মানুষ স্থীর অবস্থায় থাকতে পারেনা। মন, মানুষের সুখ দুঃখের নিয়মাত্রান্তিক ভাবে চলে না। মন, অগোছালো ভাবে তার গতীশীলতা বজায় রাখে।
মন, এমন একটা আশ্চর্য অদৃশ্য চোখ, যা ডানে তাকালে অসৎ, বামে তাকালে সৎ, উপরে তাকালে কবর,নিচে তাকালে খোদা,সামনে তাকালে নরক, পিছনে তাকালে স্বর্গ দেখতেও পারে!!" কারন,মনের দেখার কোন বীধি বিধান, কোন নিয়ম শৃঙ্খল নেই। এই মন একটি হযবরল(এলোমেলো) ভাবনাত্তিক বিষয়। কখন কার মনে কী এসে কী জ্বালা,আনন্দ,হাসি,কান্না,বিরহ,বেদনা,দিবে তা অজানা। মন কী করবে, কী করতে গিয়ে কী করছে, কিংবা যা করা হবে তার অতিতে ফেরা হবে তার কোন সুসন্ধান দিতে পারবেনা। মন একটি অবিনশ্বর অরাজকীয় অদৃশ্য মানব চেতন,কথন দুইয়ই।মন যেমন এলোমেলো স্বপ্নও দেখতে পারে তেমনি এলোমেলো কথা গোছিয়েও বলতে পারে।।আমরা যে অসম্ভাবি কোন কাজে "হ্যা,না"দুটির মধ্য ঘোরপ্যাঁচ বোধ করি তার ভিতরেও মনের গতী ল্যাটিমঝিমের মতো চলতে থাকে। "হ্যা,না,না,হ্যা,না,হ্যা,হ্যাহ,হ্যাহ্,নাহ্,নাহ,"----
তাই আমি আমার পান্ডুহীন ঙ্গান থেকে মনের গতীশীলতার একটি নামও দিতে ইচ্ছে পোষন করছি।"তবে "হযবরল (এলোমেলো),দিলে তা হয়তো শুধু অগোছালো বর্ণের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে! কোন রসপ্রেম,চেতনা,সুদূরবর্তী চলাচল থাকবেনা। কিন্তু মনের এই অসমাপ্ত আজন্ম গতীশীলতায় প্রেম আছে,রস,বস,বেদনার দশ সবই আছে। মন আমাদেরই শত্রু আমাদেরই মিত্র।সেখেত্রে তাকে ঝগড়ারাটে উৎপিড়িতো বন্ধু হিসেবে গন্য করা যায়।।
যতই তরে "দেত্, দেত্,দেত্তোরিকী?"
তবুও তুই আমারই আশের ঘরের"সখা-সখী!"
ধাঁধাঁর ছলে নাম দেবোলো---!"
"ঐঁ যে গেলো এই যে আইলো!!"
পরিশেষে একটি কথাই বলবো:"মন এমন একটা আশ্চর্য্য গতীশীল পিড়ন যে স্বর্গে বসেও নরকের চিত্র অনুসূচনা করবে!!"
#সমাপ্ত।।
No comments