বড়লোক হবার সহজ উপায়
#বড়লোক_হবার_সহজ_উপায়
চৌরাস্তার মোড়ে প্রকান্ড যে ইউক্যালিপ্টাস বৃক্ষটা,সেটিরই গোড়ায় মোটামোটি বড় সাইজের ব্যানারটা টানিয়ে দেয়া হয়েছে।যেন কারো নজর এড়াতে না পারে।পথচারীদের অনেকেরই উৎসুক দৃষ্টি ব্যানারটির দিকে।আমিও ঐ ব্যানাটির দিকেই একদৃষ্টে তাকিয়ে আছি।ব্যানারের একপ্রান্তে আমার ছবিটা বেশ ভালই দেখাচ্ছে।ইদানীং আমার কিছু ভক্তবৃন্দ তৈরী হয়েছে।তাদের বিশ্বাস আমার মত একজন প্রতিভাবান নেতা জাতির জন্য দেশের জন্য খুবই জরুরী।তাই তারা আমাকে না জানিয়েই ব্যানার টানিয়ে দিয়েছে।এই মর্মে যে তারা নাকি আমাকে এমপি হিসেবে চায়ই চায়।ব্যানারের একপ্রান্তে আমার ছবিটার দিকেই আমি তাকিয়েছিলাম।খানিকবাদে লক্ষ্য করলাম উৎসুক জনতার ভীড় আমার দিকেই এগুচ্ছে।আমি পকেট থেকে ফোনটা বের করে কারো সাথে অতীব জরুরী কথা বলার মত ভঙ্গী করে তৎক্ষনাৎ একটি রিকশা ডেকে সেখান থেকে চলে এলাম।যাক!এ যাত্রায় বাঁচা গেল!নইলে যে কত প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হত! রিকশাটি মেইন রোড দিয়ে চলছিল এমন সময় হঠাৎ একটি কালো মাইক্রোগাড়ী এসে থামল।আর ভেতর থেকে কয়েকজন মুখোশধারী এসে আমাকে ফিল্মিকায়দায় উঠিয়ে নিয়ে গেল।আমি একটু নাড়াচাড়া করাতে একজন হকিস্টিক দিয়ে আঘাত করে বসল।জ্ঞান ফিরতেই আমি দেখি আমি এক অন্ধকারাচ্ছন্ন কামরায় চেয়ারে হাত পা বাঁধা অবস্থায় বসে আছি।আমার ঠিক সামনেই একজন বসা।তিনি তার গোফগুলো নাড়াচড়া করে খুবই তৃপ্তি পাচ্ছিলেন বোধহয়।এর মাঝে আমাকে চোখ মেলতে দেখে চরম বিরক্তিভরা কন্ঠে ধমক দিয়ে বাতি জ্বালাতে বললেন।অতঃপর আমাকে লক্ষ্য করে বললেনঃ
-মিয়া এই বয়সে একটু আনন্দ ফূর্তি করবা।ঘুরবা ফিরবা। আর তুমি কিনা এই বয়সে আইছ এমপি ইলেকশানে দাড়াইতে।তোমার সাহসতো কমনা।একেবারে জানে মাইরা ফালামু কিন্তু।
আমি বুঝতে পারলাম এটা ঐ ব্যানারেই তিক্ত ফল।কিন্তু আমার যে কিছুই বলার নেই।আমাকে চুপ থাকতে দেখে লোকটি আবার বলে উঠলঃ
-বুঝছি,তুমি সাদাসিধা মানুষ।যাও তোমারে পঞ্চাশ লাখ টাকা দিলাম।যত জায়গায় ব্যানার টানাইছ নামাইয়া ফেলবা।আর ইলেকশনের নাম ও যদি মুখে নিছ।তাহলে তোমার চৌদ্দ বংশ নির্বংশ করে দেব।
আমি তো টাকার অংক শুনে খুশীতে বাকবাকুম বাকবাকুম পায়রা হয়ে গেলাম।
আমি একটু সাহস নিয়ে বললামঃ
-পোস্টারে ব্যানারে প্রচারনায় আমার দশ লাখের মত গেছে ঐটা দিয়ে দিলেই আমি সরে যাব।
লোকটা বলল চেক না ক্যাশ?
আমি বললাম ক্যাশ।
অতঃপর আমার কাছে টাকা ভর্তি ব্রিফকেস চলে এল।আমি নতুন টাকার ঘ্রান নিচ্ছি আর ভাবছি, আহ!!বড়লোক হওয়া কত সহজ "!!এমন সময় কেউ আমাকে ধমক দিয়ে উঠলঃ
-কিরে আমার জামার মধ্যে নাক ঘষাঘষি করস কেন?মাথার তার কয়টা ছিড়ছে?
আমি মনে মনে ওর চৌদ্দগোষ্ঠী উদ্ধার করতে লাগলাম।ওর জন্য এত সহজ উপায়ে বড়লোক হয়েও হতে পারলামনা।
~মাহদি হাসান।
চৌরাস্তার মোড়ে প্রকান্ড যে ইউক্যালিপ্টাস বৃক্ষটা,সেটিরই গোড়ায় মোটামোটি বড় সাইজের ব্যানারটা টানিয়ে দেয়া হয়েছে।যেন কারো নজর এড়াতে না পারে।পথচারীদের অনেকেরই উৎসুক দৃষ্টি ব্যানারটির দিকে।আমিও ঐ ব্যানাটির দিকেই একদৃষ্টে তাকিয়ে আছি।ব্যানারের একপ্রান্তে আমার ছবিটা বেশ ভালই দেখাচ্ছে।ইদানীং আমার কিছু ভক্তবৃন্দ তৈরী হয়েছে।তাদের বিশ্বাস আমার মত একজন প্রতিভাবান নেতা জাতির জন্য দেশের জন্য খুবই জরুরী।তাই তারা আমাকে না জানিয়েই ব্যানার টানিয়ে দিয়েছে।এই মর্মে যে তারা নাকি আমাকে এমপি হিসেবে চায়ই চায়।ব্যানারের একপ্রান্তে আমার ছবিটার দিকেই আমি তাকিয়েছিলাম।খানিকবাদে লক্ষ্য করলাম উৎসুক জনতার ভীড় আমার দিকেই এগুচ্ছে।আমি পকেট থেকে ফোনটা বের করে কারো সাথে অতীব জরুরী কথা বলার মত ভঙ্গী করে তৎক্ষনাৎ একটি রিকশা ডেকে সেখান থেকে চলে এলাম।যাক!এ যাত্রায় বাঁচা গেল!নইলে যে কত প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হত! রিকশাটি মেইন রোড দিয়ে চলছিল এমন সময় হঠাৎ একটি কালো মাইক্রোগাড়ী এসে থামল।আর ভেতর থেকে কয়েকজন মুখোশধারী এসে আমাকে ফিল্মিকায়দায় উঠিয়ে নিয়ে গেল।আমি একটু নাড়াচাড়া করাতে একজন হকিস্টিক দিয়ে আঘাত করে বসল।জ্ঞান ফিরতেই আমি দেখি আমি এক অন্ধকারাচ্ছন্ন কামরায় চেয়ারে হাত পা বাঁধা অবস্থায় বসে আছি।আমার ঠিক সামনেই একজন বসা।তিনি তার গোফগুলো নাড়াচড়া করে খুবই তৃপ্তি পাচ্ছিলেন বোধহয়।এর মাঝে আমাকে চোখ মেলতে দেখে চরম বিরক্তিভরা কন্ঠে ধমক দিয়ে বাতি জ্বালাতে বললেন।অতঃপর আমাকে লক্ষ্য করে বললেনঃ
-মিয়া এই বয়সে একটু আনন্দ ফূর্তি করবা।ঘুরবা ফিরবা। আর তুমি কিনা এই বয়সে আইছ এমপি ইলেকশানে দাড়াইতে।তোমার সাহসতো কমনা।একেবারে জানে মাইরা ফালামু কিন্তু।
আমি বুঝতে পারলাম এটা ঐ ব্যানারেই তিক্ত ফল।কিন্তু আমার যে কিছুই বলার নেই।আমাকে চুপ থাকতে দেখে লোকটি আবার বলে উঠলঃ
-বুঝছি,তুমি সাদাসিধা মানুষ।যাও তোমারে পঞ্চাশ লাখ টাকা দিলাম।যত জায়গায় ব্যানার টানাইছ নামাইয়া ফেলবা।আর ইলেকশনের নাম ও যদি মুখে নিছ।তাহলে তোমার চৌদ্দ বংশ নির্বংশ করে দেব।
আমি তো টাকার অংক শুনে খুশীতে বাকবাকুম বাকবাকুম পায়রা হয়ে গেলাম।
আমি একটু সাহস নিয়ে বললামঃ
-পোস্টারে ব্যানারে প্রচারনায় আমার দশ লাখের মত গেছে ঐটা দিয়ে দিলেই আমি সরে যাব।
লোকটা বলল চেক না ক্যাশ?
আমি বললাম ক্যাশ।
অতঃপর আমার কাছে টাকা ভর্তি ব্রিফকেস চলে এল।আমি নতুন টাকার ঘ্রান নিচ্ছি আর ভাবছি, আহ!!বড়লোক হওয়া কত সহজ "!!এমন সময় কেউ আমাকে ধমক দিয়ে উঠলঃ
-কিরে আমার জামার মধ্যে নাক ঘষাঘষি করস কেন?মাথার তার কয়টা ছিড়ছে?
আমি মনে মনে ওর চৌদ্দগোষ্ঠী উদ্ধার করতে লাগলাম।ওর জন্য এত সহজ উপায়ে বড়লোক হয়েও হতে পারলামনা।
~মাহদি হাসান।
No comments